স্বা’স্থ্যবি’ধি উ’পেক্ষা ও সরকারি নির্দেশনা অ’মা’ন্য করে বাসে যাত্রী তোলার প্র’তি’বা’দ করায় বাস শ্র’মি’কদের বি’রু’দ্ধে পরিবারের চা’রজন’কে মা’র’ধ’রের অ’ভি’যো’গ’ উঠেছে। এ সময় তারা ওই পরিবারের একটি
শিশুকে জা’না’লা দিয়ে নিক্ষেপ করেন বলেও অভি’যো’গ পাওয়া গেছে। শুক্রবার (২৮ মে) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বরিশাল নগরীর রূপাতলী বাস টার্মিনালে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘট’নাস্থলে পু’লি’শ গেলে
শ্র’মি’ক নে’তারা ওই যাত্রীদের নতুন জা’মাকা’পড় কিনে দিয়ে মা’র’ধ’রে’র ঘটনা ধা’মাচা’পা দেওয়া চেষ্টা করেন। মা’রধ’রের স্বীকার শামীম সিকদারের (২৭) গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার টিকিকাটা গ্রামের হলেও কর্মসূত্রে তিনি বরিশাল নগরীর ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে (কালিজিরা) বসবাস করেন। তিনি সাংবাদিকদের জানান, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তিনি ও তার মা হাসনুর বেগম, ভাগ্নে বউ কারিমা ও ভাগ্নের সাত বছরের শিশুকন্যা মুনিয়াকে নিয়ে মঠবাড়িয়ার উদ্দেশে রওয়ানা দেন।
রূপাতলী বাসস্ট্যান্ডে এসে ২৪০ টাকা দিয়ে প্রতিটি টিকিট কাটেন এবং বাসে ওঠেন। কিন্তু নিয়মানুযায়ী বাসের প্রতি দুই আসনের একটি খালি রাখার কথা থাকলেও সুপারভাইজর কোনো সিটই খালি রাখেননি। পাশাপাশি যাত্রীদের দাঁ’ড় করিয়েও নিচ্ছিলেন। কিন্তু দেড়শ টাকা ভাড়ার স্থলে ২৪০ টাকা নিয়ে এভাবে ঝুঁ’কি’তে যাত্রী পরিবহন করার প্র’তিবা’দ করলে বাস সুপারভাইজার ক্ষি’প্ত হন। শামীম সিকদার বলেন, মুহূ’র্তে’র মধ্যে সুপারভাইজর, হে’লপার’সহ বাস’স্ট্যা’ন্ডের ১৫/২০ জন শ্র’মি’ক মিলে বাসের সিটেই আমাকে মা’রধ’র করে।
আমাকে বাঁচা’তে গেলে শ্র’মি’করা আমার মা, ভাগ্নে বউ কারিমাকে লা’ঞ্ছি’ত ও হে’ন’স্তা করেন। ভা’গ্নের সাত বছরের মেয়ে মুনিয়াকে হে’ল’পার বাস থেকে ছুঁ’ড়ে নিচে ফেলে দেয়। ওই বাসের যাত্রী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতির মাহিম পরিবহনের (গাড়ি নম্বর ঢাকা মেট্রো ব-১৪৪৯৯৮) সুপারভাইজর মুন্নার নেতৃত্বে ওই চারজনকে ব্যাপক মা’রধ’র করা হয়। মা’রধ’রে শুধু ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতির শ্র’মি’করাই নয় রূপাতলী বাস মালিক সমিতির শ্রম’কিরাও অংশ নেন।
মা’রধ’রের পর বাসটি স্ট্যান্ড ছেড়ে ঠা’সা’ঠাসি করে যাত্রী নিয়ে মঠবাড়িয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। রূপাতলী বাস মালিক সমিতির লাইন বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন শামীম বলেন, আমি ঘটনা শুনেছি এবং মা’রধরে’র শি”কার যাত্রীকে প্রাথমিক চি’কিৎ’সার ব্যবস্থা করেছি।\ তবে যাত্রী শামীম সিকদার জানান, তাকে কোনো ধরনের চি’কি’ৎসা সহায়তা দেওয়া হয়নি, শুধু শ্র’মি’কদের হা’ম’লা’য় তার ছিঁড়ে যাওয়া পো’শাক কিনে দিয়ে মা’রধ’রের দা’গ ঢা’কার চেষ্টা করেছেন শ্র”মিক নেতারা।
তিনি কোনো বিচারই পাননি, পু’লি’শ এসেও কিছু করেনি। এ বিষয়ে রূপাতলী মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাওছার হোসেন শিপন জানান, যতটুকু জেনেছি বাসস্ট্যান্ডে যা’ত্রীর সঙ্গে ত’র্কা’ত’র্কি হয়েছে। তবে মা’রধ’রে’র ঘটনা ‘স্ট্যান্ডের বাই’রের সড়’কে হয়েছে। আর যেহেতু বাসটি ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতির তাই তাদের বিষয়টি জানি’য়েছি, তারা ব্যবস্থা নেবেন।